বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ৩৫টি ভয়াবহ এবং ঐতিহাসিক দুর্যোগের তালিকা
১. ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়
বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়, এবং পুরো উপকূলীয় অঞ্চল ধ্বংস হয়ে যায়।
২. ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়
প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং লক্ষাধিক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। চট্টগ্রাম ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৩. ১৯৮৮ সালের বন্যা
এই বন্যা দেশের ৬০% এলাকা প্লাবিত করে এবং ২,৫০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটায়।
৪. ১৯৯৮ সালের বন্যা
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, যা ৬৮% এলাকা প্লাবিত করে এবং ৩০০ কোটি ডলারের ক্ষতি করে।
৫. ২০০৭ সালের সিডর ঘূর্ণিঝড়
প্রায় ৩,৪৪৭ জন নিহত হয় এবং দক্ষিণাঞ্চলে ১৫০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৬. ২০২০ সালের আম্পান ঘূর্ণিঝড়
১৩ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি, সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ।
৭. ২০০৯ সালের আইলা ঘূর্ণিঝড়
প্রায় ১৯০ জন নিহত হয়, এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়।
৮. ১৯৯৭ সালের চট্টগ্রামের ঘূর্ণিঝড়
এই ঘূর্ণিঝড়ে ১৫৫ জন নিহত এবং হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়।
৯. ১৯৮৯ সালের টাঙ্গাইল টর্নেডো
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডোগুলোর একটি। এতে ১৩০০ জন প্রাণ হারায়।
১০. ২০১৭ সালের ভূমিধস
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিধসে ১৫৬ জন প্রাণ হারায়।
১১. ২০০৪ সালের বন্যা
দেশের ৫০% এলাকা প্লাবিত হয়, এবং ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১২. ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ
ব্রিটিশ শাসনের সময়, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যায়।
১৩. ২০১৬ সালের বজ্রপাত
এক বছরে বজ্রপাতজনিত কারণে ২০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়, যা এটিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৪. ২০০৭ সালের বন্যা
গ্রীষ্মকালীন বন্যা দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৫. ২০১৯ সালের বুড়িগঙ্গা লঞ্চ ডুবি
বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবে ৩৪ জন মারা যায়।
১৬. ১৯৯৬ সালের মেঘনা লঞ্চ ডুবি
মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ডুবে গিয়ে ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়।
১৭. ২০১৪ সালের তেলের ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা
সুন্দরবনের শেলা নদীতে তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতি হয়।
১৮. ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধস
দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ভবন ধস। এতে ১,১৩৪ জন প্রাণ হারায়, এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়।
১৯. ২০০৫ সালের স্পেকট্রাম ভবন ধস
গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা। এতে ৭৩ জন নিহত হয়।
২০. ২০০৩ সালের ফিনিক্স ভবন ধস
ফিনিক্স গার্মেন্টস ভবন ধসে ২১ জন নিহত হয়।
২১. ২০১৮ সালের চকবাজার অগ্নিকাণ্ড
পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জন নিহত হয়।
২২. ২০১০ সালের নিমতলী অগ্নিকাণ্ড
পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে ১১৭ জন নিহত হয়।
২৩. ১৯৯৭ সালের ভূমিকম্প
দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়, বিশেষত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকায়।
২৪. ২০১৫ সালের ল্যান্ডফিল গ্যাস বিস্ফোরণ
ঢাকার আমিনবাজারে একটি গ্যাস বিস্ফোরণে ১৫ জনের বেশি মানুষ আহত হয়।
২৫. ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়।
২৬. ২০২২ সালের সিলেটের বন্যা
অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বন্যা ঘটে, যা ২০ লক্ষ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২৭. ২০০৭ সালের মধুমতি লঞ্চ ডুবি
প্রায় ১৫০ জন যাত্রী নিহত হয়, যা লঞ্চ দুর্ঘটনার অন্যতম ভয়াবহ উদাহরণ।
২৮. ২০১৯ সালের কক্সবাজার পাহাড় ধস
পাহাড় ধসে ১১ জন মারা যায় এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২৯. ২০১৫ সালের ফ্লাইওভার ধস
ঢাকার মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণকালে ধসে পড়ে ৪ জন প্রাণ হারায়।
৩০. ২০০৪ সালের সুনামি সতর্কতা সংকট
সুনামির সরাসরি আঘাত না লাগলেও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়।
৩১. ২০২۳ সালের ভূমিধস
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ভূমিধসে ১০ জন নিহত হয়।
৩২. ১৯৯৮ সালের ধস-ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো
ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন ভবনের অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৩৩. ১৯৮৮ সালের টর্নেডো
কিশোরগঞ্জে ঘটে যাওয়া এই টর্নেডো প্রায় ১,০০০ জনের মৃত্যু ঘটায়।
৩৪. ১৯৯১ সালের জলোচ্ছ্বাস
ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১৫-২০ ফুট উঁচু ঢেউ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে।
৩৫. ২০২১ সালের ঢাকা লঞ্চ অগ্নিকাণ্ড
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৪১ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়।